শিরোনাম
Passenger Voice | ০১:৪২ পিএম, ২০২৪-০২-২০
লেখা, অভিনয়, নির্মাণ সবখানেই ছিলো তার বিচরণ। তবে অভিনয়ে তিনি একাধিক প্রজন্মের আদর্শ, অনুপ্রেরণার উদাহরণ। অভিনয় দিয়ে তিনি কখনও হাসিয়েছেন, কখনও কাঁদিয়েছেন, আবার কখনও ভয় ধরিয়েছেন দর্শকের মনে। তিনি এটিএম শামসুজ্জামান। ২০২১ সালের আজকের (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনে মারা গেছেন তিনি।
এটিএম শামসুজ্জামানের পুরো নাম আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। জন্ম ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীতে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন জগন্নাথ কলেজে। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে রূপালি জগতে কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনয়ের শুরুটা হয় ‘নয়া জিন্দেগানি’ নামের একটি ছবির মাধ্যমে। তবে সেটি মুক্তি পায়নি।
এটিএমকে প্রথম পর্দায় দেখা যায় ১৯৬৮ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘এতটুকু আশা’ সিনেমায়। এক খবরের কাগজ বিক্রেতার ভূমিকায় হাজির হন তিনি। সেই ছোট্ট চরিত্র থেকে নাটক-সিনেমার অন্যতম দাপুটে অভিনেতায় প্রতিষ্ঠিত হন গুণী এই শিল্পী।
এটিএম শামসুজ্জামান অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সিনেমা হলো- ‘ওরা ১১ জন’, ‘লাঠিয়াল’, ‘নয়নমণি’, ‘অশিক্ষিত’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘দোলনা’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘গেরিলা’, ‘চোরাবালি’ ইত্যাদি।
টিভি নাটকেও অনবদ্য ছিলেন এটিএম। বহু ধারাবাহিক ও একক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এর মধ্যে কালজয়ী কয়েকটি নাটক হলো- ‘রঙের মানুষ’, ‘ভবের হাট’, ‘ঘর কুটুম’, ‘নোয়াশাল’, ‘শীল বাড়ি’ ইত্যাদি। এর বাইরে শতাধিক সিনেমার কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান। লিখেছেন নিজের আত্মজীবনীও। যেটার নাম ‘শিল্প সংস্কৃতি ও আমার শিল্পী জীবন’।
শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন এটিএম শামসুজ্জামান। এছাড়া বর্ণাঢ্য সিনে জীবনে ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। একই আয়োজনে পেয়েছেন আজীবন সম্মাননাও।
প্যা/ভ/ম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.